শাজাহান খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন

news paper

আরাফাত হাসান, মাদারীপুর

প্রকাশিত: ২৯-৪-২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

14Views

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি ও সহিংসতা মোকাবেলায় প্রশাসনিক ভূমিকা না থাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন মোটর সাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান। তিনি সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় নতুন শহর এলাকার তাঁর নিজ বাসায় স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলন করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপির বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গসহ ৭ দফা দাবী তুলে ধরেন সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে শফিক খান বলেন, শাজাহান খানের ছেলে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আসিবুর রহমান খান পিতার কালো টাকা, অবৈধ সম্পদ এবং প্রভাবের জোরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। ইতিমধ্যে টাকার প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় প্রশাসন, নির্বাচনি ব্যবস্থা, সন্ত্রাসী বাহিনী, মাদক ব্যবসায়ী, কিশোর গ্যাং, ভূমিদস্যু, টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজদের কে নিয়ে নির্বাচনি ফলাফল নিজের পক্ষে  নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে শফিক খান শাজাহান খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গসহ ৭ দফা দাবী তুলে ধরে বলেন, শাজাহান খান নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনি এলাকায় অবস্থান করতে পারবেন না। সশরীরে অথবা মোবাইল ফোনে কাউকে তার ছেলের পক্ষে নির্বাচন করতে নির্দেশ বা অনুরোধ করতে পারবেন না। কাউকে ভয়ভীতি ও হুমকী দিয়ে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না।. তার ক্ষমতার প্রভাবে তৈরি হওয়া সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, টেন্ডারবাজ, ভূমিদস্যু, কিশোর গ্যাং সদস্যদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। এছাড়া প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রভাবমুক্ত থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন কতে হবে। ঝুকিপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ইলেকট্রোরাল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে হবে। ইতিমধ্যে সংগঠিত সন্ত্রাসী ঘটনা সঠিক তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল হাসান নিটুল খন্দকার সহ অন্যান্য নেতাকর্মী।

এই বিষয়ে শাজাহান খান বলেন, ‘বাড়িতে আমি এসেছি। কিন্তু আমি নির্বাচনে কোন কাজে অংশ নিচিছ না।’

এই ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আহমেদ আলী বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ১৪ টি অভিযোগের ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সদর ওসিকে জানিয়েছি। এছাড়াও অন্যান্য গুলো নির্বাচন কমিশনারের কাছে পাঠিয়েছি। নির্বাচনের কমিশনের চিঠি অপেক্ষায় রয়েছি।


আরও পড়ুন