চৌগাছার বলুহ মেলার সকল প্রস্তুতি শেষ কাল থেকে শুরু কাংখিত মেলা

news paper

ইমাম হোসেন সাগর, চৌগাছা

প্রকাশিত: ৮-৯-২০২৪ বিকাল ৬:১৭

181Views

যশোরের চৌগাছায় পীর বলুহ মেলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী কাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে বহুল কাংখিত মেলা। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা হতে সব ধরনের ব্যবসায়ীরা এসে তাদের পছন্দের জায়গা নিয়ে দোকান বসানোর কাজ জোরে সোরে করে যাচ্ছেন। শিশুদের জন্য হরেক রকমের খেলাধুলা সরোঞ্জমে ভরে উঠেছে মেলার মাঠ। প্রশাসন হতে আজকের মধ্যেই অনুমতি মিলবে বলে জানান মেলা পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ।

চৌগাছার ঐতিহ্যবাহি পীর বলুহ মেলা প্রতি ভাদ্র মাসের শেষ মঙ্গলবার শুরু হয়। অন্য বছর গুলোর মত এবছরও মেলার সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছেন কর্তৃপক্ষ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে বেশ আগে ভাগেই আসতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা, এখনও দিন রাত সারাক্ষনই আসছেন ব্যবসায়ীরা। এবারের মেলার বিশেষ আকর্ষন সদ্য খননকৃত কপোতাক্ষ নদে চলবে স্পীটবোড। দক্ষ চালকেরা নদের স্বচ্চ পানিতে ছুটবের এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে। দুরের ব্যবসায়ীরা বেশ আগেই চলে এসেছেন। মেলার আর একটি অন্যতম আকর্ষন হচ্ছে কাঠের তৈরী আসবাবপত্র। ব্যবসায়ীরা বেশ আগেই এসেছেন এবং দোকান প্রস্তুত প্রায় সম্পন্ন করেছেন।

মেলায় কাঠের আসবাবপত্র নিয়ে এসেছেন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ, শামছুল আলম, মিকাইল হোসেন, রহমত আলী। তারা বলেন, প্রায় এক দশক ধরে তারা এই মেলাতে আসেন এবং ভালো ব্যবসা করে বাড়িতে ফিরে যান। এবছরও মেলায় কাংখিত ব্যবসা হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন। যশোরের বাঘারপাড়ার বসুন্দিয়ার সেই নামকরা খোকন ভাইয়ের চটপটি চলে এসেছে মেলাতে। দোকান প্রস্তুত করে বসে গেছেন কম বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে দোকান মালিক খোকন জানান। প্রসাধনী পন্য নিয়ে এসেছেন মাদারীপুর জেলা হতে উসমান মোল্লা। তিনি বলেন, বলুহর মেলা বলে কথা। প্রতি বছরই আসি এবারও এসেছি আশা করছি ব্যবসা মন্দ হবেনা। শিশু খেলনার পরসা সাজিয়ে বসেছেন ফরিদুপর জেলা হতে আসা ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন তিনি বলেন, বলুহ মেলা আমার অন্তরে জায়গা করে নিয়েছে। বহু বছর ধরে এখানে আসি খালি হাতে ফিরতে হয়না। পাবনা জেলা হতে এসেছেন ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম। এখনও জায়গা হয়নি, তবে দ্রæত জায়গা হয়ে যাবে বলে তিনি আশা করছেন। শিশুদের হরেক রকমের খেলা সাজিয়ে বসেছেন বগুড়া জেলা হতে আসা ব্যবসায়ী লিটন হোসেন ভাল ব্যবসা প্রত্যাশা করছেন। ঢাকার গুলিস্থান এলাকা হতে এসেছেন ব্যবসায়ী আবু তাহের। তিনি শীতবস্ত্র কম্বল নিয়ে এসেছেন। অন্য বছরের ন্যায় এবছরও ভাল ব্যবসা হবে বলে মনে করছেন। মেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, শিশুদের বিনোদনের জন্য হরেক রকমের খেলাধুলার সরাঞ্জম নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। এরমধ্যে নৌকা দোলা, নাগরদোলা, জাম্পিং, ¯িøপিং অন্যতম। সব ধরনের সরাঞ্জম সুবিধামত স্থানে বসানোর কাজ চলছে বেশ জোরেসোরে। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে ব্যবসায়ীরা আশানুরুপ ব্যবসা করতে পারবেন বলে মনে করছেন।

বাজার পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য বিএম বাবুল আক্তার এবং কমিটির সভাপতি হবিবর রহমান জানান, বলুহ মেলা হচ্ছে একটি গ্রামীণ মেলা, যা যুগযুগ ধরে চলে আসছে। মুসলমানের ঈদ আর হিন্দুদের দুর্গাপুজায় যেমন আনন্দ হয় আমাদের এলাকার সব ধর্মের মানুষের মাঝে এই মেলাকে ঘিরে সেই আনন্দ হয়। ঈদে মেয়ে জামাইকে দাওয়াত দিতে ভুল করলেও মেলাতে মেয়ে জামাইকে দাওয়াত দিতে কেউ ভুল করেনা। গ্রামবাসিসহ এ অঞ্চলের সকলের সহযোগীতা নিয়ে মেলা শুরু করা হবে ইতোমধ্যে আমরা সেই ব্যপারে আলোচনা শেষ করেছি। এখন প্রশাসনের পক্ষ হতে অনুমতির অপেক্ষায় আছি আশা করছি আজ সোমবারের মধ্যে অনুমতি মিলবে। 


আরও পড়ুন